সালেহ্ বিপ্লব: [২] যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানিয়েছেন ডিক ডারবিন। বুধবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকের ছবি তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন। 

[২.১] পোস্টে তিনি লিখেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য প্রশংসা করি আমি। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা শেষ করতে ব্যর্থ হলে তা এই অংশীদারিত্বকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে আমি অধ্যাপক ইউনূসের ওপর হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি।

[৩] বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন সিনেটরের দপ্তর। এতে বলা হয়, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অব্যাহত হয়রানির বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠক করেন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হুইপ ডিক ডারবিন। 

[৪] বৈঠকে গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা একটি চিঠির অনুলিপি রাষ্ট্রদূত ইমরানের হাতে তুলে দেন সিনেটর ডিক ডারবিন। গত ২২ জানুয়ারি মার্কিন সিনেটের ১২ জন সদস্য ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ওই চিঠি লিখেছিলেন।

[৫] ডিক ডারবিন ইলিনয় অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেটিক সিনেটর।  মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের আইনবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান তিনি। 

[৫.১] বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন কংগ্রেস ড. ইউনূসকে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল দিয়েছে। ওই পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিক ডারবিন।